সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে অত্যাচার মেনে নিয়েছিলাম
'স্বামী খালি টাকা চায়। বাবা বেঁচে নেই, মা টাকা পাবে কোথায়? তাও ধারদেনা করে মা টাকা দিছে। বারবার টাকা আইনে তারে দিছি। তাও মারে। শাশুড়ি-ননদ ঠেকায় না। এত অত্যাচার সয়েছি শুধু সন্তানের মুখের দিক চাইয়ে। আবার টাকা চায়। মাইরে আমার চোখ-মুখ ফাটাই দিছে। আমি এহন হাসপাতালে। সেখানেও রেহায় নেই। স্বামীর আত্মীয়রা হামলে পড়ছে। জোর করে হাসপাতাল থেকে নেয়ার জন্যি।' বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার তাহমিনা খানম। তিনি বলেন, 'আমার ছেলেডারে পর্যন্ত কাইড়ে নেছে। আমার ছেলেডারে আইন্যা দেন।' জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাবার মৃত্যুর পর সুমন কাজীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাহমিনার। বিয়ের পর থেকেই সুমন ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তাহমিনার ওপর নির্যাতন শুরু করে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তাহমিনার মা বিভিন্ন সময় জামাতার হাতে টাকা তুলে দেন। আগে একাধিকবার তাহমিনাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে সুমন। সর্বশেষ সোমবার সুমন তাহমিনাকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে তাহমিনার মামা বেলাল মোল্যা ভাগি্নকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুমন তাদের একমাত্র সন্তান সিফাতকে বাড়িতে আটকে রেখেছে। তাহমিনার সঙ্গে দেখাও করতে দিচ্ছে না। স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করা প্রসঙ্গে সুমন বলে, 'পারিবারিক কলহের কারণে চড় দিছি।' এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Source http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=27-03-2012&type=gold&data=Emirates&pub_no=834&cat_id=3&menu_id=30&news_type_id=1&index=3